কিছু কথা
আমাদের দেশে গ্রামাঞ্চলে এমনকি শহরেও কম বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে বাংলাদেশের ৪৫% নারীদের বিয়ে হয়েছে ১৫ বছরের আগে এবং ৬৬% নারীদের বিয়ে হয়েছে ১৮ বছর বয়সের আগে। এই সমস্যা যে শুধু বাংলাদেশেই তা কিন্তু নয়। সকল দেশেই কম বেশী এই সমস্যাটা আছে। বিয়ের পর অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আত্মীয়দের ইচ্ছার জন্য গর্ভধারণ করেন। আমাদের দেশের প্রায় ৫৭% মেয়ে ১৯ বছরের আগেই গর্ভধারণ করেন। এই কম বয়সে বিয়ে দেওয়ার জন্য মাকে, সন্তানকে, পরিবারকে তথা সমাজকে বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
সমস্যা সমূহ
- বেশীরভাগ মেয়ে কম বয়সে বিয়ে দেওয়ার জন্য লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারেনা বা লেখাপড়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। লেখাপড়া বন্ধের জন্য অনেক স্বপ্নই অপূর্ণ থেকে যায়।
- কম বয়সী মেয়েরা জন্মনিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে অনভিজ্ঞ থাকে এবং অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও গর্ভবতী হয়ে পড়ে। যারা গর্ভবতী তারা অনেকেই লজ্জায় লুকিয়ে রাখতে চায় এবং ঠিকমত খাওয়া দাওয়া করেনা বা ডাক্তার এর কাছে যেতে চায়না। অনেকেই গর্ভপাত করাতে চায়। এই সকল কারনে কিছু সমস্যা হতে পারে তা হল,
* মায়ের রক্তশূন্যতা।
* এক্লামসিয়া, প্রি-এক্লামসিয়া।
* কম ওজনের শিশুর জন্ম বা সময়ের আগেই শিশু ভূমিষ্ঠ।
* জন্মগত ত্রুটি যুক্ত শিশুর জন্ম।
* অপূর্ণ শরীরে গর্ভধারণের জন্য পেল্ভিস ও হাড়ের গঠন ঠিকমত না হওয়ার জন্য সিজারিয়ান প্রসবের হার বেড়ে যায়।
* শিশু এবং মা উভয়েরই মৃত্যু ঝুঁকি বেশী থাকে।
- কম বয়সী অপুষ্ট মায়েদের কাছ থেকে পাওয়া যায় অপুষ্ট শিশু। একটি অপুষ্ট শিশু কখনই একটি পরিপূর্ণ স্বাভাবিক বাচ্চার মত সবকিছু করতে পারেনা।
- একটি কম বয়সী মেয়ে যখন গর্ভবতী হয় তখন তাকে থেকে সমবয়সী বা আত্মীয় স্বজনেরাও গর্ভধারণে উৎসাহিত হয়।
- লেখাপড়া থেমে যাওয়ার কারনে পরিবারে একপ্রকার আর্থিক ক্ষতি ও হয়ে থাকে।
- কম বয়সী মেয়েদের সংসার জীবনের সাথে মানিয়ে উঠতে ও বেশ সময় লাগে। এতে কলহ সৃষ্টির সম্ভাবনা বেশী থাকে।
- দাম্পত্য জীবনে ও বেশ সমস্যা দেখা যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় তারা অনিচ্ছা সত্ত্বেও সহবাস করতে বাধ্য হচ্ছে। তাদের কাছে জোর করা বা অত্যাচার বলে মনে হয়। পরবর্তীতে এটি অনেক বড় সমস্যার কারন হতে পারে।
শেষ কথা
অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে কোনভাবেই সুফল বয়ে আনেনা। এটি তাদের স্বাস্থ্যের জন্য যেমন ক্ষতিকর তেমনি সামাজিক দিক দিয়েও ক্ষতিকর। তাই আমাদের উচিত তাদেরকে লেখাপড়াই উৎসাহিত করা। অন্তত বিশ বাইশ বছর বয়সের পরে বিয়ে দেয়া উচিত। এতে সুন্দর ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তোলা সম্ভব।
আমাদের দেশে গ্রামাঞ্চলে এমনকি শহরেও কম বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে বাংলাদেশের ৪৫% নারীদের বিয়ে হয়েছে ১৫ বছরের আগে এবং ৬৬% নারীদের বিয়ে হয়েছে ১৮ বছর বয়সের আগে। এই সমস্যা যে শুধু বাংলাদেশেই তা কিন্তু নয়। সকল দেশেই কম বেশী এই সমস্যাটা আছে। বিয়ের পর অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আত্মীয়দের ইচ্ছার জন্য গর্ভধারণ করেন। আমাদের দেশের প্রায় ৫৭% মেয়ে ১৯ বছরের আগেই গর্ভধারণ করেন। এই কম বয়সে বিয়ে দেওয়ার জন্য মাকে, সন্তানকে, পরিবারকে তথা সমাজকে বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
সমস্যা সমূহ
- বেশীরভাগ মেয়ে কম বয়সে বিয়ে দেওয়ার জন্য লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারেনা বা লেখাপড়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। লেখাপড়া বন্ধের জন্য অনেক স্বপ্নই অপূর্ণ থেকে যায়।
- কম বয়সী মেয়েরা জন্মনিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে অনভিজ্ঞ থাকে এবং অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও গর্ভবতী হয়ে পড়ে। যারা গর্ভবতী তারা অনেকেই লজ্জায় লুকিয়ে রাখতে চায় এবং ঠিকমত খাওয়া দাওয়া করেনা বা ডাক্তার এর কাছে যেতে চায়না। অনেকেই গর্ভপাত করাতে চায়। এই সকল কারনে কিছু সমস্যা হতে পারে তা হল,
* মায়ের রক্তশূন্যতা।
* এক্লামসিয়া, প্রি-এক্লামসিয়া।
* কম ওজনের শিশুর জন্ম বা সময়ের আগেই শিশু ভূমিষ্ঠ।
* জন্মগত ত্রুটি যুক্ত শিশুর জন্ম।
* অপূর্ণ শরীরে গর্ভধারণের জন্য পেল্ভিস ও হাড়ের গঠন ঠিকমত না হওয়ার জন্য সিজারিয়ান প্রসবের হার বেড়ে যায়।
* শিশু এবং মা উভয়েরই মৃত্যু ঝুঁকি বেশী থাকে।
- কম বয়সী অপুষ্ট মায়েদের কাছ থেকে পাওয়া যায় অপুষ্ট শিশু। একটি অপুষ্ট শিশু কখনই একটি পরিপূর্ণ স্বাভাবিক বাচ্চার মত সবকিছু করতে পারেনা।
- একটি কম বয়সী মেয়ে যখন গর্ভবতী হয় তখন তাকে থেকে সমবয়সী বা আত্মীয় স্বজনেরাও গর্ভধারণে উৎসাহিত হয়।
- লেখাপড়া থেমে যাওয়ার কারনে পরিবারে একপ্রকার আর্থিক ক্ষতি ও হয়ে থাকে।
- কম বয়সী মেয়েদের সংসার জীবনের সাথে মানিয়ে উঠতে ও বেশ সময় লাগে। এতে কলহ সৃষ্টির সম্ভাবনা বেশী থাকে।
- দাম্পত্য জীবনে ও বেশ সমস্যা দেখা যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় তারা অনিচ্ছা সত্ত্বেও সহবাস করতে বাধ্য হচ্ছে। তাদের কাছে জোর করা বা অত্যাচার বলে মনে হয়। পরবর্তীতে এটি অনেক বড় সমস্যার কারন হতে পারে।
শেষ কথা
অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে কোনভাবেই সুফল বয়ে আনেনা। এটি তাদের স্বাস্থ্যের জন্য যেমন ক্ষতিকর তেমনি সামাজিক দিক দিয়েও ক্ষতিকর। তাই আমাদের উচিত তাদেরকে লেখাপড়াই উৎসাহিত করা। অন্তত বিশ বাইশ বছর বয়সের পরে বিয়ে দেয়া উচিত। এতে সুন্দর ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তোলা সম্ভব।
No comments:
Post a Comment