Sunday, July 14, 2013

Allergy/Allergies (এলার্জি)

কিছু কথা

এলার্জি, ব্যাধিটির সাথে কম বেশী আমরা সবাই পরিচিত। কেনই বা হবেনা, গড়ে প্রতি ৫ জনের মধ্যে ১ জন যে এই সমস্যাটিতে ভোগে। সারা বিশ্বের ১০%-১৫% মানুষ কোন না কোন ভাবে এই সমস্যাতে ভোগে এবং এর সংখ্যা বাড়ছেই। গত ২ দশক ধরে এই সমস্যা বেশ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এলার্জি বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। কারও ঋতু পরিবর্তন এর ফলে হয় কারও হয় খাদ্য জনিত কারনে।



কেন হয়?

 এলার্জি হল মানব দেহের ইমিউন সিস্টেম এর হাইপারসেন্সিভিটি ডিসঅর্ডার। যখন দেহের ইমিউন সিস্টেম পরিবেশের কোন অক্ষতিকারক কোন পদার্থ এর সাথে বিক্রিয়া করে তখন এলার্জি এর উদ্ভব হয়। যে পদার্থ বিক্রিয়া ঘটায় তাকে এলারজেন বা অতিপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টিকারী বস্তু বলে। এই প্রতিক্রিয়া
খুব দ্রুত ঘটে। যখন মাস্ট সেল অত্ত্যাধিক হারে সক্রিয় হয় তখন স্বতন্ত্রভাবে ভাবে এই ক্রিয়া হয়। এছাড়া অ্যান্টিবডি ইম্যুনো গ্লোবিউলিন ই এর প্রভাবে বাসফিল সক্রিয় হলে ও ঘটে। এই জ্বালাময়ী প্রতিক্রিয়া অস্বস্তিকর ভাব থেকে বিপদজনক ও হয়ে উঠতে পারে।


 এলার্জির ধরন

- খাদ্য এলার্জিঃ খাদ্যের  এলার্জি কম বেশী সবাইকে প্রভাবিত করে। এসব খাদ্য সমুহের মধ্যে আছে, দুধ, ডিম, গম, বাদাম, বিভিন্ন ধরনের মাছ, সয়া সস, ছানা জাতীয় খাদ্য, গরুর মাংস ইত্যাদি।
- ঋতু এলার্জিঃ ঋতু পরিবর্তন এর সাথে সাথে এলার্জির প্রকোপ বাড়তে পারে। যেমন, বসন্ত কালে নতুন কড়ি হয়, এটি কোনভাবে দেহের সংস্পর্শে আসলে ক্রিয়া করতে পারে।
- পোষা প্রাণী থেকেঃ কুকুর বা বিড়াল পুষলে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে।
- অন্যান্যঃ খড় জ্বর, চোখের এলার্জি, আমবাত, মৌমাছি, ফুলের রেনু, ধুলাবালি, প্রসাধনী, সূর্যের তাপ, ঔষধ, রাসায়নিক পদার্থ, এসপিরিন ইত্যাদি বিভিন্ন কারনে হতে পারে।


লক্ষণ সমুহ

- নাক ফুলে যাওয়া।
- নাক দিয়ে পানি পরা বা সর্দি লাগা।
- চোখ লাল হয়ে যাওয়া বা চুলকানো।
- হাঁচি, কাশি।
- কানে ব্যাথা এবং কম শোনা।
- শরীরে লাল লাল ফুসকুড়ি হউয়া, যেমন- চর্মরোগ।
- পেটে ব্যথা,বমি, পাতলা পায়খানা।


প্রতিকার

- স্কিন টেস্ট, ব্লাড টেস্ট, চ্যালেঞ্জ টেস্ট, প্যাচ টেস্ট করা যেতে পারে।
- বিভিন্ন Antagonistic ঔষধ এলার্জির ক্রিয়া রোধে ব্যবহার করা হয়।
- ইমিউনোথেরাপি এর মাধ্যমে। এর মাধ্যমে এলার্জির তীব্রতা কমানো বা পুরোপুরি দূর করা সম্ভব।
- এলার্জি বর্ধক খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে।
- লক্ষণ দেখা দিলে ডাক্তার এর পরামর্শ নিতে হবে।

No comments:

Post a Comment