Saturday, July 13, 2013

Periorbital dark circles (চোখের চারপাশে কালো দাগ)

কিছু কথা

Periorbital dark circles বা চোখের চারপাশের কালো দাগ অনেক সময় বেশ চিন্তার কারন হয়ে দাড়ায়। নারী বা পুরুষ উভয়ের জন্যই এটি একটি বিরাট সমস্যা। এই ছোট দাগ সৌন্দর্য নষ্ট করে দিতে পারে। এটি বিভিন্ন কারনে হতে পারে। এমনকি বংশগত কারনে ও হতে পারে।


কেন হয়?

- বংশপরম্পরাক্রমে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যাদির পুনরাবৃত্তিঃ চোখের পাতার চারপাশের ত্বক শরীরের সব থেকে পাতলা ত্বক বা চামড়া (০.৫ মি. মি.)। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে চোখের চারপাশের ব্লাড ভেসেল দেখা যায় বলে কালো হয়ে থাকে। স্থায়িভাবে স্ফীত বা
বর্ধিত শিরার মত এটাও উত্তরাধিকার সুত্রে পাওয়া যায়। যখন রক্ত শিরার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় তখন এটি একটি নীলাভ আভা সৃষ্টি করতে পারে। যত স্বচ্ছ ত্বক তত গাড় বৃত্তাকার দাগ দেখা যায়।

- এলার্জি, হাঁপানি বা এক্সিমাঃ চোখের চুলকানি সৃষ্টি করার মত যে কোন কারনে চোখের চারপাশে কালো দাগ হতে পারে। চোখ চুলকানো বা ঘষার কারনে এটা হয়ে থাকে। খড় জ্বর ক্ষতিগ্রস্থদের এই সমস্যা লক্ষ্য করার মত। কিছু খাদ্যও (এলার্জি বর্ধক) এই সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

- মেডিকেশনঃ যেকোনো ঔষধ যা শিরাকে স্ফীত বা বর্ধিত করে তার জন্য ও হতে পারে।

- রক্তশূন্যতাঃ খাদ্যের পুষ্টির অভাব বা সুষম খাদ্যের অভাবে চোখের নিচে দাগ দেখা দিতে পারে। খনিজ লবনের অভাবে এটা হয় বলে ধারনা করা হয়। খনিজ লবনের অভাবে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়, ফলে দেহের টিস্যু ঠিক মত অক্সিজেন এর সরবরাহ পায়না। গর্ভাবস্থায় বা মাসিক এর সময় ও চোখের নিচে ফ্যাকাসে হতে পারে, ফলে চোখের নিম্নাবস্থিত শিরা আরো দৃশ্যমান হয়।

- ক্লান্তিঃ ঘুমের অভাবে ত্বক ফ্যাকাশে হতে পারে। এতে দাগ আরও গাড় হতে পারে।

- যকৃতের সমস্যাঃ এটি লিভার রোগের লক্ষণও হতে পারে।

- বয়সঃ বয়সের সঙ্গে কালো দাগ আরও লক্ষণীয় এবং স্থায়ী হয়। মানুষের বয়স বাড়ার কারণে, ত্বকের কোলাজেন হারাতে থাকে ফলে ত্বক পাতলা এবং আরও স্বচ্ছ হয়ে উঠে।


পরামর্শ

প্রক্রিয়া ১ঃ

- ঘুমঃ রাতে যথেষ্ট পরিমানে ঘুমাতে হবে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে চোখের সকল প্রকার মেকাপ পরিষ্কার করতে হবে।
- এলার্জির চিকিৎসাঃ এলার্জির চিকিৎসা করাতে হবে। মাল্টি ভিটামিন এ ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।
- অনুনাসিক কনজেশনঃ অনুনাসিক কনজেশন দূর করতে হবে।
- ভাল করে খাওয়াঃ যথেষ্ট পরিমাণে সুষম খাবার খাওয়া এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা।
-  ধূমপানঃ ধূমপানের অভ্যাস থাকলে ছেড়ে দিতে হবে।
- আরাম করাঃ পর্যাপ্ত পরিমাণে রেস্ট নিতে হবে, এতে ভালভাবে ঘুম হবে এবং দুশ্চিন্তা কমবে।

প্রক্রিয়া ২ঃ

- চোখ বন্ধ করে ২ টুকরো শশা ২ চোখের ওপর দিয়ে ১০-০৫ মিনিট রাখতে হবে।
- প্রতিদিন আপনার চোখে শীতল চা ব্যাগ বা নরম কাপড় আবৃত একটি বরফ দিয়ে ১০-১৫ মিনিট রাখতে হবে।
- আলুর রস নিঃসৃত করে শুষ্ক আলু চোখে দিয়ে ৩০ মিনিট রেখে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
- একটি চামচ ফ্রিজে ১০-১৫ মিনিট রেখে সেটি কাল দাগ এর অপর চেপে ধরতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত না চামচ গরম হয়।

প্রক্রিয়া ৩ঃ

- ভিটামিন কে সমৃদ্ধ ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে।
- চোখের  দাগ দূর করা ক্রিম ব্যবহার ব্যবহার করা যেতে পারে।
- প্রসাধনী ব্যবহার এর পূর্বে চামড়া পরীক্ষা করাতে হবে। 

No comments:

Post a Comment