Sunday, July 21, 2013

Typhoid (টাইফয়েড)

কিছু কথা

টাইফয়েড রোগটির সাথে কম বেশী আমরা সবাই পরিচিত। বাংলাদেশে এর প্রাদুর্ভাব অনেক বেশি। চিন্তার বিষয় হল, শিশুরা এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। সারাবিশ্বে বছরে টাইফয়েডে প্রায় ৩ কোটি মানুষ আক্রান্ত হয় এবং প্রায় ৭ লক্ষ মানুষ মারা যায়। প্রতি ১,০০০ শিশুর মধ্যে বাংলাদেশে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২০ জন শিশু যা কিনা অন্যান্য বয়সীদের তুলনায় ৯ গুণ বেশি। ৫ বছরের কম বয়সী বাচ্চারা টাইফয়েডে আক্রান্ত হয় সবচেয়ে বেশি এবং এর ৮৫% শিশুই আক্রান্ত হয় ২-৪ বছরের মাঝে। সময়মত চিকিৎসা না করালে কোন অঙ্গ স্থায়ী ভাবে অকার্যকর ও হয়ে পড়তে পারে। এমনকি পেটের ভেতর রক্তক্ষরণ ও ছিদ্র হয়ে যেতে পারে।


টাইফয়েড কি?

 টাইফয়েড বা টাইফয়েড জ্বর হল এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ। এই রোগ  সালমোনেলা টাইফি নামে ব্যাক্টেরিয়ার কারনে হয়। এটি পানিবাহিত রোগ। এটা সংক্রমিত (সংক্রমিত ব্যাক্তির মল ও মূত্র দ্বারা) খাদ্য বা জল পানের দ্বারা ছড়ায়। এই ব্যাকটেরিয়া শুধু মানুষের দেহে বাস

Saturday, July 20, 2013

Jaundice (জন্ডিস)

কিছু কথা

জন্ডিস আমাদের দেশে খুবই পরিচিত রোগ। শিশুদের এই রোগ হতে বেশী দেখা যায়। এটি যেকোনো বয়সের মানুষের হতে পারে। জন্ডিস এর কারনে মৃত্যু হতে পারে কি পারেনা তা নির্ভর করে কি কারনে জন্ডিস হয়েছে তার ওপর। তবে খুব ভয়াবহ অবস্থা হলে মৃত্যু ও হতে পারে।  একে আগে পাণ্ডুরোগ বলা হত। ভারতীয় উপমহাদেশে জন্ডিসের একটি প্রধান কারণ হল ভাইরাস ঘটিত হেপাটাইটিস।


জন্ডিস কি?

প্রকৃতপক্ষে, জন্ডিস (Jaundice) কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ। ত্বক, মিউকাস মেমব্রেণ এবং চোখ হলুদ হয়ে যাওয়াকে জন্ডিস বলে। জন্ডিস মূলত হয় লিভারে সমস্যা হলে।শরীরে বিলিরুবিন নামে হলুদ রঞ্জক পদার্থের পরিমাণ বেড়ে গেলে এরকম হয়। বিলিরুবিনের স্বভাবিক পরিমাণ < ১.0-১.৫ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার। এর দ্বিগুণ হলে বাইরে থেকে বোঝা যায়। কিছু ক্ষেত্রে প্রস্রাব গাঢ় হলুদ হয়ে যায়।  সাধারণত: আমাদের শরীরে প্রতিদিন ১% পুরনো

Wednesday, July 17, 2013

Cancer (ক্যান্সার)

কিছু কথা

সারা বিশ্বে যত মৃত্যুর ঘটনা ঘটে তার শতকরা ১২ ভাগ ঘটে ক্যান্সার এর কারনে। উন্নত দেশ গুলোতে এটাকে মৃত্যুর দ্বিতীয় ও তৃতীয় কারন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর তথ্য অনুসারে ২০০৮ সালে সারা  বিশ্বে ৭.৬ মিলিয়ন মানুষ ক্যান্সার এর কারনে মারা যায়। এর মধ্যে ৭০% মৃত্যু ঘটে কম এবং মধ্যম আয়ের দেশে। ক্যান্সারকে ১০০ এর ও বেশী রোগের সাধারন নাম ও বলা যায়। বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার থাকলেও সব ক্যান্সারই মূলত কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারনে হয়ে থাকে। ক্যান্সার যেকোনো অঙ্গে খুব দ্রুত ছড়ায়, পরিনতিতে আক্রান্ত ব্যক্তি একপর্যায়ে মৃত্যু বরন করে। আমাদের দেশে স্তন, জরায়ু, অন্ত্রনালি, প্রোস্টেট, ফুসফুস, পাকস্থলি, ডিম্বাশয়, যকৃত, খাদ্যনালী, মুখগহ্বর, ত্বক প্রভৃতি ক্যান্সার প্রায়ই পরিলক্ষিত হয়।


কীভাবে হয়?

আমাদের দেহ কোটি কোটি কোষ দ্বারা গঠিত। কোষগুলো স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়, বিভাজিত হয় এবং মারা যায়। শৈশবে এই কোষ বৃদ্ধির হার অনেক বেশী থাকে এবং পূর্ণবয়স্ক কালে কোষগুলো সাধারণত আঘাতজনিত কারনে বা স্বাভাবিকভাবে মৃত কোষ এর স্থান পূরণ করে থাকে। ক্যান্সার এর শুরুতে কোষগুলো অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এই কোষের বৃদ্ধির হার নরমাল কোষ থেকে আলাদা হয়। এটি পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং নতুন নতুন অস্বাভাবিক কোষ সৃষ্টি করতে থাকে। ক্যান্সার কোষ অনেক টিস্যুকে আক্রমন

Tuesday, July 16, 2013

Benefits Of Cloves ( লবঙ্গের উপকারিতা)

লবঙ্গ সাধাণত রান্নার সময় অনেকে ফোঁড়নে ব্যবহার করেন। গরম মলার সাথেও লবঙ্গ থাকে। তা রান্নার স্বাদ বাড়ায়। এছাড়া লবঙ্গের আরও কিছু বিশেষ গুণ আছে, যা আমাদের শরীরের ক্ষেত্রে ভীষণ ফলদায়ী। সেগুলো কি কি জেনে নেয়া যাক -

- লবঙ্গ কফ কাশি দূর করে।
- পানির পিপাসা পেলে বা বুকে অসস্তি হলে লবঙ্গ খাওয়া দরকার। তাতে পিাপাসা মেটে। শরীরে ফুর্তি নিয়ে আসে।
- হজমে লবঙ্গ সহায়তা করে।
- ক্ষুধা বাড়ায়।
- পেটের রৃমি নাশ করে।
- লবঙ্গ পিষে মিস্রি বা মধুর সঙ্গে খাওয়া খুবই ভাল। এতে রক্তে

Monday, July 15, 2013

Under Aged Marriege of Girls (অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে)

কিছু কথা

আমাদের দেশে গ্রামাঞ্চলে এমনকি শহরেও কম বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে বাংলাদেশের ৪৫% নারীদের বিয়ে হয়েছে ১৫ বছরের আগে এবং ৬৬% নারীদের বিয়ে হয়েছে ১৮ বছর বয়সের আগে। এই সমস্যা যে শুধু বাংলাদেশেই তা কিন্তু নয়। সকল দেশেই কম বেশী এই সমস্যাটা আছে। বিয়ের পর অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আত্মীয়দের ইচ্ছার জন্য গর্ভধারণ করেন। আমাদের দেশের প্রায় ৫৭% মেয়ে ১৯ বছরের আগেই গর্ভধারণ করেন। এই কম বয়সে বিয়ে দেওয়ার জন্য মাকে, সন্তানকে, পরিবারকে তথা সমাজকে বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।


সমস্যা সমূহ

- বেশীরভাগ মেয়ে কম বয়সে বিয়ে দেওয়ার জন্য লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারেনা বা লেখাপড়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। লেখাপড়া বন্ধের জন্য অনেক স্বপ্নই অপূর্ণ থেকে যায়।
- কম বয়সী মেয়েরা জন্মনিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে অনভিজ্ঞ থাকে এবং অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও গর্ভবতী হয়ে পড়ে। যারা গর্ভবতী তারা অনেকেই লজ্জায় লুকিয়ে রাখতে চায় এবং ঠিকমত খাওয়া দাওয়া করেনা বা ডাক্তার এর কাছে যেতে চায়না। অনেকেই গর্ভপাত করাতে চায়। এই সকল কারনে কিছু সমস্যা হতে পারে তা হল,
* মায়ের রক্তশূন্যতা।
* এক্লামসিয়া, প্রি-এক্লামসিয়া।

Hepatitis B (হেপাটাইটিস বি)

কিছু কথা

হেপাটাইটিস বি একটি মারাত্মক রোগ। ১৯৬৫ সালে এক অস্ট্রেলিয়া আদিবাসীর রক্তে হেপাটাইটিস বি ভাইরাস আবিষ্কৃত হয়। বর্তমানে পৃথিবীতে ৩০-৩৫ কোটি মানুষ এই রোগের জীবাণু দীর্ঘমেয়াদী ভাবে বহন করে আসছে এবং প্রতি বছর প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ এই জটিলতায় মারা যায়। মূলত হেপাটাইটিস বলতে লিভার ফুলে যাওয়াকে বোঝায়। এর ফলে দেখা যায় লিভার ইনফেকশন, সঙ্গে ইমিউন সিস্টেম এর অবনতি এবং এক পর্যায়ে অকার্যকর হয়ে পরে লিভার। ভাইরাস এর কারনের হয় বলে একে ভাইরাল হেপাটাইটিস ও বলে। হেপাটাইটিস ৫ টি ভাইরাস দ্বারা হয়ে থাকে। ভাইরাস গুলো হচ্ছে,  হেপাটাইটিস-এ,  হেপাটাইটিস-বি,  হেপাটাইটিস-সি,  হেপাটাইটিস-ডি,  হেপাটাইটিস-ই। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, চীন, আফ্রিকা, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য, প্যাসিফিক আয়ারল্যান্ড সহ দক্ষিন আমেরিকা এর কিছু কিয়দংশে এ রোগের সংক্রমন খুব বেশী।


হেপাটাইটিস-বি কি?

 হেপাটাইটিস বি ভাইরাস এর কারনে হয় বলে একে  হেপাটাইটিস বি বলা হয়। একে সিরাম হেপাটাইটিস ও বলে। হেপাটাইটিস বি ভাইরাস প্রাথমিকভাবে যকৃত কোষে প্রতিলিপি নির্মাণ দ্বারা যকৃত ফাংশনে হস্তক্ষেপ করে। এ রোগের ২ টি অবস্থা আছে। একটি হল অ্যাকিউট

Sunday, July 14, 2013

Allergy/Allergies (এলার্জি)

কিছু কথা

এলার্জি, ব্যাধিটির সাথে কম বেশী আমরা সবাই পরিচিত। কেনই বা হবেনা, গড়ে প্রতি ৫ জনের মধ্যে ১ জন যে এই সমস্যাটিতে ভোগে। সারা বিশ্বের ১০%-১৫% মানুষ কোন না কোন ভাবে এই সমস্যাতে ভোগে এবং এর সংখ্যা বাড়ছেই। গত ২ দশক ধরে এই সমস্যা বেশ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এলার্জি বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। কারও ঋতু পরিবর্তন এর ফলে হয় কারও হয় খাদ্য জনিত কারনে।



কেন হয়?

 এলার্জি হল মানব দেহের ইমিউন সিস্টেম এর হাইপারসেন্সিভিটি ডিসঅর্ডার। যখন দেহের ইমিউন সিস্টেম পরিবেশের কোন অক্ষতিকারক কোন পদার্থ এর সাথে বিক্রিয়া করে তখন এলার্জি এর উদ্ভব হয়। যে পদার্থ বিক্রিয়া ঘটায় তাকে এলারজেন বা অতিপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টিকারী বস্তু বলে। এই প্রতিক্রিয়া

Saturday, July 13, 2013

Periorbital dark circles (চোখের চারপাশে কালো দাগ)

কিছু কথা

Periorbital dark circles বা চোখের চারপাশের কালো দাগ অনেক সময় বেশ চিন্তার কারন হয়ে দাড়ায়। নারী বা পুরুষ উভয়ের জন্যই এটি একটি বিরাট সমস্যা। এই ছোট দাগ সৌন্দর্য নষ্ট করে দিতে পারে। এটি বিভিন্ন কারনে হতে পারে। এমনকি বংশগত কারনে ও হতে পারে।


কেন হয়?

- বংশপরম্পরাক্রমে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যাদির পুনরাবৃত্তিঃ চোখের পাতার চারপাশের ত্বক শরীরের সব থেকে পাতলা ত্বক বা চামড়া (০.৫ মি. মি.)। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে চোখের চারপাশের ব্লাড ভেসেল দেখা যায় বলে কালো হয়ে থাকে। স্থায়িভাবে স্ফীত বা

Friday, July 12, 2013

Oral Contraceptive Pill (মৌখিক গর্ভনিরোধক বড়ি)

কিছু কথা

Oral Contraceptive Pill (মৌখিক গর্ভনিরোধক বড়ি) বর্তমান যুগের অতি পরিচিত একটি আলোচ্য বিষয়। এটি ১৯৬০ সালের দিকে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। কেননা সেই সময়ে প্রমানিত হয় যে এটি জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধে সাহায্য করে। এটির ব্যবহার ও খুবই সহজ যার দরুন সর্বাধিক পরিমানে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু অন্যান্য সকল মৌখিক ওষুধ এর মত এর ও কিছু খারাপ দিক আছে।


কীভাবে কাজ করে?

সধারনত, নারীরা গর্ভবতী হয় যখন তাদের ওভারি থেকে ওভাম নিঃসৃত হয় এবং তা পুরুষের শুক্রাণু দ্বারা নিষিক্ত হয়। এই নিষিক্ত ওভাম গিয়ে জরায়ুতে লেগে থাকে। এখান থেকে সে সকল পুষ্টি গ্রহন করে এবং দেহ গঠন করে। নারীর শরীরের হরমোন ওভাম নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরকে নিষিক্ত ওভাম ধারনের জন্য সহায়ক করে তোলে।

গর্ভনিরোধক বড়ি সমূহে খুব সূক্ষ্ম পরিমানে বাহ্যিক ভাবে তৈরি ইস্ট্রজেন এবং প্রজেন্তিন হরমোন থাকে। ইস্ট্রজেন জরায়ু থেকে ওভাম নিঃসরণ বন্ধ করে। আবার  ইস্ট্রজেন এবং

Friday, July 5, 2013

Child Care During Monsoon (বর্ষাকালে শিশুরযত্ন)

কিছু কথা

"আহা, আজই এ বসন্তে কত ফুল ফোটে, কত বাঁশি বাজে,
কত পাখি গায়, আহা  আজই এ বসন্তে।"

সবই লাগবে ভাল যখন বর্ষা কাটবে ভাল। বর্ষা কালে যেমন আছে তীব্র গরম তেমন বৃষ্টি। আবহাওয়ার এই তারতম্যের কারনে শিশুদের মাঝে দেখা দেয় অনেক ধরনের সমস্যা। বর্ষাকালে সাধারনত
 শিশুরাই বেশি অসুখ-বিসুখের শিকার হয়। কারণ বড়দের তুলনায় তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। তাই প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতা। এ সময় সাধারনত সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, জ্বর এবং পানিবাহিত রোগ যেমন: ডাইরিয়া, আমাশয়, জন্ডিসসহ চর্মরোগ ও টাইফয়েড পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়া বর্ষাকালে মশার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার মতো মারাত্মক রোগে শিশুরা আক্রান্ত হতে পারে।


পরামর্শঃ

- শিশুকে অবশ্যই ফোটানো ও বিশুদ্ধ পানি পান করাতে হবে।
- সামান্য সর্দি-কাশি ও  জ্বরকে অবহেলা করা ঠিক হবে না, কারণ এর থেকে নিউমোনিয়া হয়ে শিশুর জীবন বিপন্ন হতে পারে।

Tuesday, July 2, 2013

Smoking (ধূমপান)

কিছু কথা

ধূমপান, এমন একটি অভ্যাস যা একবার শুরু হলে সহজে দূর করা যায়না। এতে রয়েছে নিকোটিন, যার ফলে ধূমপায়ীরা ধূমপানে আকৃষ্ট হয়। নিকোটিন হেরোইন বা অন্যান্য আসক্তিকর ওষুধের মত একটি নেশা জাতীয় রাসায়নিক পদার্থ।অনেকে স্টাইল এর জন্য ধূমপান করেন আবার অনেকেই আছেন যারা মানসিক ক্লান্তি দূর করার জন্য ধূমপান করেন। এক এক জন এক এক কারনে ধূমপান করে । কেউ কেউ শুরু করে কারন তাদের কোন পরিবারের সদস্য বা বন্ধু ধূমপান করে তাই। প্রতি ১০ জন ধূমপায়ী এর ৯ জনই ১৮ বছরের আগে ধূমপান শুরু করে। এবং তাদের অধিকাংশই কখনো ভাবেনি যে তারা কখনো ধূমপানে আকৃষ্ট হবে। WHO এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী তামাক গ্রহণকারীদের প্রায় ৫০% অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর শিকার হয়। প্রতি বছর প্রায় ৬ মিলিয়ন মানুষ এই তামাক গ্রহনের ফলে মারা যায় যার মধ্যে ৬০০,০০০ জন অধূমপায়ী কিন্তু প্রভাবের শিকার। প্রায় ১ বিলিয়ন ধূমপায়ী মধ্যবিত্ত বা দরিদ্র দেশ এ বাস করে। এভাবে চলতে থাকলে ২০৩০ সালে মৃত্যুর পরিমান দাঁড়াবে প্রায় ৮ মিলিয়ন।


কীভাবে ক্ষতি করে?

ধূমপান মানুষের দেহের কি পরিমান ক্ষতি সাধিত করে তা নির্ভর করে ওই ব্যক্তি কি পরিমান ধূমপান করে তার ওপর। যারা বেশী ধূমপান করে তাদের ক্ষতির পরিমান বেশী, তবে যারা কম ধূমপান করে তাদের ক্ষতির পরিমান ও একেবারে কম নয়। কারন নিকোটিন খুব দ্রুত শরীর ও মনের ওপর ক্রিয়া করে। শুধু নিকোটিন নয়, ধূমপানের সময় প্রায় ৪০০০  রাসায়নিক পদার্থ দেহে প্রবেশ করে। এইসব রাসায়নিক পদার্থ শরীরের প্রায় প্রতিটি অঙ্গের ক্ষতি করে থাকে।

Sunday, June 30, 2013

Influenza (ইনফ্লুয়েঞ্জা)

কিছু কথা

ইনফ্লুয়েঞ্জা সাধারণত "ফ্লু" নামে পরিচিত। এটি  ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস (RNA) ভাইরাস দ্বারা ঘটিত পাখি এবং স্তন্যপায়ী একটি সংক্রামক রোগ। প্রতি বছর ৩-৫ মিলিয়ন মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয় এবং ২৫০,০০০-৫০০,০০০ জন মারা যায়। হিপোক্রেটিস ২৪০০ বছর আগে মানুষের এই রোগ সম্পর্কে স্পষ্ট ভাবে বর্ণনা করেন। এই রোগ সম্ভবত ১৪৯৩ সালের দিকে ইউরোপ থেকে আমেরিকায় ছড়িয়ে থাকতে পারে। পরে ১৫৮০ সালের দিকে রাশিয়াতে ও ছড়ায়। ১৮৩০-১৮৩৩ সালের দিকে এটি সব দেশে ছড়িয়ে পরে। সুতরাং বোঝায় যায় এটি অতি প্রাচীন একটি ভয়ঙ্কর রোগ।


কীভাবে হয়?

বর্তমানে মানুষের রোগ সৃষ্টিকারী  ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসকে ২ ভাগে ভাগ করা হয়েছে, টাইপ - এ এবং বি। এ এর ২ টি উপভাগ আছে, A(H3N2) এবং A(H1N1)। এই ২ টি মানুষের মৃত্যুর সাথে জড়িত। ভাইরাস সহজেই ১ ব্যক্তি থেকে আর ১ ব্যক্তিতে সংক্রমিত হতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির কফ বা হাঁচি বা কথা থেকে বাতাসের মাধ্যমে অপর ব্যক্তিতে সংক্রমিত হয়।

Saturday, June 29, 2013

Kala Azar (কালাজ্বর)

কিছু কথা


ইন্টারসেলুলার ফ্লাজিলেট প্রোটোজোয়া Leishmania গ্রুপ কালাজ্বর সৃষ্টি করে। এটি Dum Dum-জ্বর, সাদা কুষ্ঠ নামেও পরিচিত। বিশ্বের ক্রান্তীয় এবং উপ ক্রান্তীয় দেশের গ্রাম্য অঞ্চলে এটি বেশী হয়। ভিসেরাল লেইশম্যানিয়াসিস ঘটিত ৯০% কালাজ্বর বাংলাদেশে ব্রাজিল, ভারত, নেপাল এবং সুদানে ঘটে। ৯০% মিউককিউটেনিয়াস লেইশম্যানিয়াসিস  এর দ্বারা ঘটিত জ্বর বলিভিয়া, ব্রাজিল এবং পেরুতে ঘটে। ৯০%  কিউটেনিয়াস লেইশম্যানিয়াসিস দ্বারা ঘটিত জ্বর আফগানিস্তান, ব্রাজিল, ইরান, পেরু, সৌদি আরব ও সিরিয়াতে দেখা যায়। শিশুদের এই রোগ বেশী হয়। অষ্টদশ শতাব্দী থেকে কালাজ্বর জনসাস্থ্যের জন্য সমস্যা হয়ে দাড়ায় এবং উনবিংশ শতাব্দীতে তা মহামারী আকার ধারন করে। কালাজ্বর এর মহামারিতার ফলে বর্ধমান ও পশ্চিম বাংলা এবং কিছু অন্যান্য জেলার জনসংখ্যা ব্যাপক হারে কমে যায় এবং অনেকে ইস্ট বেঙ্গলে চলে আসে।


কীভাবে হয়


সাধারনত সংক্রমিত মশা মাছির কামড়ের ফলে এই পরজীবী মানুষের দেহে প্রবেশ করে। কোন সংক্রমিত ব্যক্তির কাছ থেকে মশা মাছি এই রোগের জীবাণু প্রাপ্ত হয়। এছাড়া রক্ত, যৌন যোগাযোগ এবং মানুষের কাছ থেকে মানুষে সরাসরি ট্রান্সমিশন ( যেমন ,অনুনাসিক শ্লেষ্মা এর মাধ্যমে) দ্বারা
ও এই রোগ হতে পারে।

Malaria (ম্যালেরিয়া)

কিছু কথা


ম্যালেরিয়া একটি পরজীবী বাহিত রোগ। এটি প্লাজমোডিয়াম নামক একটি একক celled প্রটোজোয়া পরজীবী দ্বারা ঘটিত হয়। এই পরজীবী মশার মাধ্যমে মানুষের দেহে প্রবেশ করে। গ্রীষ্মমণ্ডলীও স্থানে বিশেষ করে শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের এই রোগ বেশী দেখা যায়। পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় ৫০০ মিলিয়ন মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয় এবং ১-২ মিলিয়ন মানুষ মারা যায়। বাংলাদেশের মধ্যে প্রধান যে কইটি রোগ আছে  ম্যালেরিয়া তার মধ্যে একটি। বাংলাদেশের ১৩ টি জেলাতে এই রোগ বেশী দেখা যায়। ৯৮%  ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের ঘটনা এইসব এলাকা থেকে পাওয়া গেছে। ১৩ টি জেলার মধ্যে আছে খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবন, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকনা, শেরপুর এবং কুড়িগ্রাম।


কীভাবে হয়?


স্ত্রী আনোফেলিস মশার কামড়ের দ্বারা  প্লাজমোডিয়াম পরজীবী মানুষের দেহে প্রবেশ করে। শুধু আনোফেলিস মশা ম্যালেরিয়া সংক্রমিত করতে পারে এবং তারা সংক্রমিত ব্যক্তির থেকে রক্ত খাওয়ার সময় সংক্রমিত হয়ে থাকে। যখন একটা সংক্রমিত মশা একজন সুস্থ ব্যক্তিকে কামড়ায়, তখন এটা ব্যক্তির শরীরের মধ্যে অতি ক্ষুদ্র, অপরিণত পরজীবী প্রেরণ করে।

Friday, June 28, 2013

Surprising Health Benefits of Sleep (ঘুমের কিছু বিস্ময়কর স্বাস্থ্য উপকারিতা)

কিছু কথা

ঘুম মানুষের অনুভূতিকে স্বাভাবিক করে। কিন্তু তার গুরুত্ব শুধু মেজাজ ভাল করা অথবা চোখের নিচের কালো দাগ দূর করা নয়। পর্যাপ্ত ঘুম সুস্থ জীবনধারা একটি প্রধান অংশ যা দ্বারা হার্ট, ওজন, মন, এবং আরও অনেক কিছুর ক্ষেত্রে উপকারিতা পাওয়া যায়।


আমরা কেন ঘুমাই?

একটি অকাট্য প্রশ্ন? আমরা ঘুম কেন  বিজ্ঞানীরা তা সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত না হলেও, আমাদের জীবনের এই রহস্যময় অংশ ফাংশন সম্পর্কে অনেক ধারনা আছে। বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে এই প্রশ্নের উত্তর খোজার চেষ্টা করেছেন। যেমন, মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীদের ঘুম থেকে বঞ্চিত করা হলে তখন কি হয়। আবার বিভিন্ন প্রজাতির ভিতরে ঘুমের ফাংশনের মিল কোথায়। কয়েক দশক ধরে গবেষণার পর ও কেন ঘুমায় তার পুরোপুরি সঠিক উত্তর পাওয়া যায়নি।

Health Benefits of Music (সঙ্গীত স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী)

কিছু কথা

সঙ্গীতের একটি বিশেষ ক্ষমতা আছে যার দ্বারা আমাদের আবেগ আলোড়িত হয়। যারা কাঁদতে কাঁদতে গান শুনে চোখের জল মুছেছে তারা বুঝতে পেরেছে একটি ছোট কথা বা স্বরধ্বনি কতটা শক্তিশালী হতে পারে।

বর্তমানে এক গবেষণায় এটা প্রমানিত হয়েছে যে সঙ্গীত আমাদের মেজাজ পরিবর্তন ও মনোযোগ স্থাপনে সহায়তা করে। কয়েকটি কার্যক্রম যা সম্পূর্ণ মস্তিষ্ককে ব্যবহার করতে পারে সঙ্গীত তার ভিতরে একটি। সব ধরনের সংস্কৃতিতেই সঙ্গীতের কিছু চমকপ্রদ উপকারিতা আছে, শুধু ভাষা শিক্ষা, সৃতি শক্তি বৃদ্ধি বা মনোযোগ সৃষ্টি ই নয় এটি শারীরিক উন্নতিতে ও সাহায্য করে।

অবশ্য খুব জোরে বা বিক্ষেপিত সঙ্গীত আমাদের মনোযোগে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এর উপকারিতাই বেশী।


উপকারিতা

মেজাজ পরিবর্তনঃ প্রত্যেক সংস্কৃতির সঙ্গীতের "আত্তার আরোগ্য" (heal the soul) করার ক্ষমতা আছে। একেকজন এক এক সঙ্গীত পছন্দ করে। কেও পছন্দ করে সফট মিউজিক কেওবা করে মেটাল সঙ্গীত। যে যে সঙ্গীত ই পছন্দ করুক না কেন, ২০১১ সালের কানাডা তে এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, পছন্দের গান খারাপ মেজাজ দূর করতে সাহায্য করে।

Thursday, June 27, 2013

Care During Pregnancy (গর্ভকালীন সময়ে যত্ন)

কিছু কথা

বাংলাদেশে প্রতি ৪৫ মিনিটে একজন গর্ভবতী মহিলা মারা যায় প্রসবকালীন জটিলতার কারনে। আর প্রতি ৪ মিনিটে ১ মাসের কম বয়সী শিশু মারা যায় কারন তাদের মা গর্ভাবস্থায় পূর্ণাঙ্গ যত্ন না পাওয়ার কারনে। UNICEF এর তথ্য অনুযায়ী প্রতি বছর ১২০,০০০ শিশু মারা যায় জন্মের ২৮ দিনের ভিতরে।
সুতরাং সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল গর্ভাবস্থায় শারীরিক ও মানসিক যত্ন। কয়েকটি সহজ নির্দেশাবলী অনুসরণ করে একটি সমস্যা মুক্ত গর্ভপাত এবং একটি সুস্থ শিশুর জন্ম দেওয়া সম্ভব।


গর্ভকালীন যত্ন

গর্ভবতী হওয়ার ৬-৮ সপ্তাহের মধ্যে ডাক্তার এর সাথে যোগাযোগ করা উচিত। এতে পূর্ববর্তী জটিলতা বা বর্তমান জটিলতা বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে সুবিধা হয়। প্রথম ভিজিট এর সময় হয়ত জরাযর়ু (গর্ভ) আকার এবং গর্ভাশয়ের এর অস্বাভাবিকতা পরীক্ষা করার জন্য কিছু পরীক্ষা করতে হতে পারে।এছাড়া প্রথম এবং পরবর্তীতে ব্লাড এবং ইউরিন টেস্ট করতে হতে পারে।

Before Becoming Pregnant (গর্ভবতী হওয়ার আগে)

কিছু কথা

আদর্শগত ভাবে, জন্ম পূর্ববর্তী যত্ন গর্ভবতী হওয়ার আগে থেকে শুরু করা উচিত। আপনি যদি গর্ভধারণের পরিকল্পনা করে থাকেন তাহলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এর পরামর্শ নিয়ে নিজের পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষা করান। আপনি ভাল স্বাস্থ্যের অধিকারীনি কিনা এবং আপনার এমন কোন অসুস্থতা বা শারীরিক সমস্যা আছে কিনা যা গর্ভাবস্থায় প্রভাব ফেলতে পারে তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য নিয়মিত পরীক্ষা নিরীক্ষা করান। আপনি যদি কোনো অস্বাভাবিক লক্ষণ অনুভব করে থাকেন তাহলে ডাক্তার এর সাথে পরামর্শ করার উত্তম সময় এখনই ।


বিস্তারিত

আপনি ইতিমধ্যে যদি কোন রোগ যেমন, ডায়াবেটিস, হাঁপানি, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের সমস্যা, এলার্জি, lupus (বহু শরীরের সিস্টেম প্রভাবিত করে যে জ্বালাময়ী ডিসর্ডার), বিষণ্ণতা বা অন্য কোন দীর্ঘস্থায়ী চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন, তাহলে এটি গর্ভাবস্থায় কতটুকু প্রভাব ফেলতে পারে তার জন্য ডাক্তার এর পরামর্শ নিন।

Wednesday, June 26, 2013

Eye Infection (চোখের সংক্রমণ)

কিছু কথা

চোখের সংক্রমণ হল, চোখের শারীরিক ব্যাধি অথবা অসুস্থতা। এটি ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, বা ফাংগাল এজেন্ট এর কারনে হয়ে থাকে। চোখের সংক্রমণ বিভিন্ন ধরনের হয়। আছে বিভিন্ন ধরনের কারন এবং চিকিৎসা। চোখের সমস্ত অংশ সংক্রমণের শিকার হতে পারে। চোখের সংক্রমণ এক বা উভয় চোখে হতে পারে এবং সব বয়সের মানুষের হতে পারে।




চোখের সংক্রমণ উপসর্গ

- চোখ লাল হয়ে যাওয়া।
- ক্রমাগত চুলকানি।
- চোখের পাতা স্তরে বিভক্ত হত্তয়া।

Tuesday, June 25, 2013

Cholera (কলেরা)

কিছু কথা

কলেরা অন্ত্রের একটি তীব্র সমস্যা। এটি Vibrio cholerae ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে দূষিত খাবার বা জলের আহারের কারনে হয়ে থাকে। বিশ্বব্যাপী 3-5 মিলিয়ন মানুষ কলেরায় আক্রান্ত হয় এবং ১০০,০০০-১৩০,০০০ জন মারা গেছে। কলেরার ডাকনাম "নীল মৃত্যু"।


লক্ষন সমূহ

বেশীরভাগ সংক্রমণ গুরুতর নয়, ৭৫% আক্রান্তদের কোনো লক্ষণ দেখা যায়না।

- ব্যাপক পানির মত ডায়রিয়া।
- বমি বমি ভাব (অসুস্থ বোধ)।
- বমি (অসুস্থ হচ্ছে)।
- পেশী সংকোচন।

Ischemic Heart Disease

কিছু কথা

যখন কোন অঙ্গ শরীর দ্বারা বিস্মৃত হয, তখন আমরা বিপদে পড়ি। Ischemic Heart Disease এর দ্বারা ঠিক এই কাজটিই ঘটে।  Ischemic মানে হল, কোন অঙ্গ (যেমন হার্ট) যথেষ্ট পরিমান রক্ত এবং অক্সিজেন প্রাপ্ত না হওয়া। হার্ট এর কোন ধমনী যা অক্সিজেন এবং রক্ত বহন করে আনে তা ব্লক হলে এই রোগ দেখা দেয়। এটি খুবই মারাত্মক একটি সমস্যা। সময় মত চিকিৎসা না করা হলে হার্ট ফেইল বা মৃত্যু অ হতে পারে। প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ১ জন এই রোগে আক্রান্ত হয় এবং তার বেশীরভাগ ই মধ্য বয়স্ক বা পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ। তবে মহিলা দের খুশি হওয়ার কোন কারন নেই কেননা এটা তাদের ও হতে পারে। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং স্থূলতা যাদের আছে তদের এই রোগের ঝুকি বেশি। এটি প্রতিরোধ করার সব থেকে ভাল উপায় হল, নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং কোন অঙ্গ  দুর্বল হয়ে পরছে কিনা খেয়াল রাখা।


লক্ষণ ও উপসর্গ

Ischemic Heart Disease বিশেষ করে প্রাথমিক পর্যায়ে, নীরব হতে পারে। এর মানে হল কোন প্রকার লক্ষন ছারা ও এটি হতে পারে। এই কারনে এটি দীর্ঘদিন যাবত ধরা না পরেও থাকতে পারে। নিম্নলিখিত যে কোন সমস্যার সাথে দেখা দিতে পারে।

Monday, June 24, 2013

Attention Deficit Hyperactivity Disorder (ADHD)

কিছু কথা

Attention Deficit Hyperactivity Disorder (ADHD) শৈশব উন্নয়নের সমস্যাগুলোর মধ্যে অতি পরিচিত একটি রোগ। এই অবস্থা মনোযোগহীনতা, hyperactivity এবং আবেগপ্রবণতা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। Hyperactivity হল একজন ব্যক্তির অস্বাভাবিক সক্রিয় শারীরিক অবস্থা। সাধারনত স্কুল পড়ুয়া ৩%-১০% শিশুদের এই রোগ দেখা যায়। মেয়েদের থেকে ছেলেরা শৈশবে এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। এই রোগ যে সকল শিশুদের মধ্যে দেখা যায় তাদের প্রায় ৬০% দের সাবালক কালে ও এই রোগ দেখা যায়। তবে যদি কারো শৈশবে এই রোগ না দেখা দেয়, তারমানে এই না যে প্রাপ্ত বয়স্ককালে তার এই রোগ হবেনা।



লক্ষন সমূহ

- মনযোগী হতে না পারা বা কোন কাজ মনোযোগ দিয়ে করতে না পারা।
- মুল বিষয় বাদ দিয়ে কোন একটি সংকীর্ণ বিষয়ের ওপর মানসিক একাগ্রতা বা কল্পনার তীব্র সমস্যা।
- যে কোন কাজে বিশৃঙ্খলা।
- মানসিক সমস্যা
- ধৈর্যহীনতা
- ভুলে যাওয়া
- অনিয়ন্ত্রিত রাগ
- আবেগপ্রবণতা
- নিম্ন আত্মসম্মানবোধ
- সম্পর্কে সমস্যা
- গালাগালি করা বা আসক্ত হয়ে যাওয়া।

Friday, June 21, 2013

Thalassemias

Thalassemias (thal-a-SE-me-ahs) বংশ পরাম্পরা এর মাধ্যমে প্রাপ্ত একটি রোগ। অর্থাৎ পিতামাতার কাছ থেকে সন্তান এই রোগ প্রাপ্ত হয়।

 Thalassemias এর কারনে রক্তে লোহিত রক্তকনিকা এবং হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক এর থেকে কম উৎপন্ন হয়। হিমোগ্লোবিন হল লোহিত রক্তকনিকার আয়রন সমৃদ্ধ প্রোটিন। এটি শরীরের সব অংশে অক্সিজেন বহন করে। এছাড়াও হিমোগ্লোবিন শরীর থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড (একটি বর্জ্য গ্যাস) ফুসফুসে বহন করে।

যাদের থ্যালাসেমিয়া আছে তাদের হালকা রক্তসল্পতা (anemia)  থাকতে পারে। রক্তে লোহিত রক্তকনিকা বা হিমোগ্লোবিন এর পরিমান কম থাকলে  Anemia হয়।


সংক্ষিপ্ত বিবরণ

সাধারন হিমোগ্লোবিনে (হিমোগ্লোবিন এ  ও বলা হয়ে থাকে) চারটি প্রোটিন চেইন দুইটি আলফা গ্লোবিন এবং দুইটি বিটা গ্লোবিন আছে । দুটি প্রধান ধরনের এই প্রোটিন শৃঙ্খলে অপূর্ণতার নামকরণ করা হয় থ্যালাসেমিয়া আলফা এবং বিটা।

Sleeping Pill (ঘুমের ঔষধ)

আমাদের চারপাশে অনেকেরই প্রথমে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ওষুধ সেবনের ফলে সে অভ্যেস আশক্তিতে রুপ নেয়। আর এটা হয় আমাদের অসচেতনতার কারণে। দীর্ঘদিন ঘুমের ওষুধ সেবনের ফলে আমাদের শরীরে নানা ধরণের সমস্যা তৈরি হয়। যেমন :

- ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়
- দুঃস্বপ্ন দেখা
- ফুসফুসের ক্রিয়া দুর্বল হয়ে যায়
- শ্বাস নিতে কষ্ট হয়
- মানুষের বুদ্ধিমত্তা লোপ পেতে থাকে
- মাথা ঘোরা, মাথা ব্যাথা, শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে যাওয়া
- পেটে ব্যাথা, হজমের সমস্যাসহ খাদ্যে অরুচি দেখা দেয়
- এছাড়াও হাত পা এবং বুক জ্বালা করে।
- সম্প্রতি ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, নিয়মিত ঘুমের ওষুধ সেবনের ফলে মানুষ দ্রুত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়।

যদি কোনো কারণে ঘুমের ওষুধ সেবনের প্রয়োজন হয়, অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন।