Friday, June 21, 2013

Thalassemias

Thalassemias (thal-a-SE-me-ahs) বংশ পরাম্পরা এর মাধ্যমে প্রাপ্ত একটি রোগ। অর্থাৎ পিতামাতার কাছ থেকে সন্তান এই রোগ প্রাপ্ত হয়।

 Thalassemias এর কারনে রক্তে লোহিত রক্তকনিকা এবং হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক এর থেকে কম উৎপন্ন হয়। হিমোগ্লোবিন হল লোহিত রক্তকনিকার আয়রন সমৃদ্ধ প্রোটিন। এটি শরীরের সব অংশে অক্সিজেন বহন করে। এছাড়াও হিমোগ্লোবিন শরীর থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড (একটি বর্জ্য গ্যাস) ফুসফুসে বহন করে।

যাদের থ্যালাসেমিয়া আছে তাদের হালকা রক্তসল্পতা (anemia)  থাকতে পারে। রক্তে লোহিত রক্তকনিকা বা হিমোগ্লোবিন এর পরিমান কম থাকলে  Anemia হয়।


সংক্ষিপ্ত বিবরণ

সাধারন হিমোগ্লোবিনে (হিমোগ্লোবিন এ  ও বলা হয়ে থাকে) চারটি প্রোটিন চেইন দুইটি আলফা গ্লোবিন এবং দুইটি বিটা গ্লোবিন আছে । দুটি প্রধান ধরনের এই প্রোটিন শৃঙ্খলে অপূর্ণতার নামকরণ করা হয় থ্যালাসেমিয়া আলফা এবং বিটা।


চারটি জিন (পিতা ও মাতা থেকে ২ টি করে)  আলফা গ্লোবিন প্রোটিনের চেইন তৈরি করতে প্রয়োজন হয়। চারটি জিনের এক বা দুই অনুপস্থিত হলে আলফা থ্যালাসেমিয়া টান ঘটে। দুইটি জিনের বেশি অনুপস্থিত থাকলে, রক্তাল্পতার মধ্যপন্থী (anemia) ঘটে।

আলফা থ্যালাসেমিয়ার সবচেয়ে গুরুতর ফর্মকে  প্রধান  আলফা থ্যালাসেমিয়া  বা hydrops fetalis বলা হয়। যে সকল শিশুদের এই ব্যাধি হয় তারা জন্মের পূর্বে অথবা জন্মের পর পর ই মারা যায়।

 যথেষ্ট বিটা গ্লোবিন প্রোটিনের চেইন তৈরি করতে দুইটি জিন (পিতা ও মাতা থেকে ১ টি করে) প্রয়োজন হয়। এক বা উভয় জিন পরিবর্তন করা হলে বিটা থ্যালাসেমিয়া ঘটে।

বিটা থ্যালাসেমিয়া নির্ভর করে এক বা উভয় জিন কি পরিমান আক্রান্ত তার ওপর। যদি উভয় জিন প্রভাবিত হয় সেক্ষেত্রে রক্তাল্পতার মধ্যপন্থী  (anemia)  হয়। বিটা থ্যালাসিমিয়া গুরুতর ফর্ম  প্রধান  থ্যালাসেমিয়া বা Cooley এর রক্তাল্পতা হিসাবে পরিচিত হয়।

পুরুষ ও নারী উভয়ই Thalassemias এ আক্রান্ত হতে পারে। এই রোগ ইতালী়, গ্রিক, মধ্যম পূর্ব, দক্ষিণ এশিয়ান, এবং আফ্রিকান বংশদ্ভুত মানুষের মধ্যে প্রায়শই ঘটতে দেখা যায়। এই রোগ সাধারনত শৈশবে ধরা পরে এবং জীবনব্যাপী চলতে থাকে।

ডাক্তার রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে thalassemias নির্ণয় করে থাকে। এই রোগের চিকিৎসা সাধারনত রক্ত পরিবর্তন, ওষুধপত্র, এবং অন্যান্য পদ্ধতিতে করে হয়ে থাকে।


বর্তমান অবস্থা

Thalassemias এর চিকিৎসা দিন দিন অনেক উন্নতি লাভ করছে। Thalassemias এ আক্রান্ত মানুষ এখন অনেক দিন বেচে থাকছে এবং বেশ ভাল ভাবে জীবনযাপন করছে।

যাইহোক, thalassemias এবং তার চিকিৎসায় প্রায়ই জটিলতা হয়। যারা Thalassemias এ আক্রান্ত তাদের অবশ্যই চিকিৎসা পরিকল্পনা অনুসরন করা উচিত। যতটা সম্ভব সুস্থ থাকার জন্য তাদের নিজেদের প্রতি যত্নশীল হতে হবে।




No comments:

Post a Comment