Sunday, June 30, 2013

Influenza (ইনফ্লুয়েঞ্জা)

কিছু কথা

ইনফ্লুয়েঞ্জা সাধারণত "ফ্লু" নামে পরিচিত। এটি  ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস (RNA) ভাইরাস দ্বারা ঘটিত পাখি এবং স্তন্যপায়ী একটি সংক্রামক রোগ। প্রতি বছর ৩-৫ মিলিয়ন মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয় এবং ২৫০,০০০-৫০০,০০০ জন মারা যায়। হিপোক্রেটিস ২৪০০ বছর আগে মানুষের এই রোগ সম্পর্কে স্পষ্ট ভাবে বর্ণনা করেন। এই রোগ সম্ভবত ১৪৯৩ সালের দিকে ইউরোপ থেকে আমেরিকায় ছড়িয়ে থাকতে পারে। পরে ১৫৮০ সালের দিকে রাশিয়াতে ও ছড়ায়। ১৮৩০-১৮৩৩ সালের দিকে এটি সব দেশে ছড়িয়ে পরে। সুতরাং বোঝায় যায় এটি অতি প্রাচীন একটি ভয়ঙ্কর রোগ।


কীভাবে হয়?

বর্তমানে মানুষের রোগ সৃষ্টিকারী  ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসকে ২ ভাগে ভাগ করা হয়েছে, টাইপ - এ এবং বি। এ এর ২ টি উপভাগ আছে, A(H3N2) এবং A(H1N1)। এই ২ টি মানুষের মৃত্যুর সাথে জড়িত। ভাইরাস সহজেই ১ ব্যক্তি থেকে আর ১ ব্যক্তিতে সংক্রমিত হতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির কফ বা হাঁচি বা কথা থেকে বাতাসের মাধ্যমে অপর ব্যক্তিতে সংক্রমিত হয়।
এটি আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে প্রায় ৬ ফুট পর্যন্ত ছড়াতে পারে। ভাইরাস নাক বা গলা দিয়ে দেহে প্রবেশ করে। ভাইরাস আছে এমন কোন কিছু স্পর্শ করে ওই হাত দিয়ে মুখ বা নাক স্পর্শ করলে ও এই রোগ হতে পারে। ভাইরাস দেহে প্রবেশের পরে ঊর্ধ্ব এবং নিম্ন শ্বাস নালীর এপিথেলিয়াল কোষকে এ আক্রমণ করে এবং কোষের আবরন ধ্বংস ও ক্ষয় করে। এবং তার পুনরাবৃত্তি করতে থাকে। সংক্রামণ প্রশমিত হলে, এই ক্ষতি পুরন হতে প্রায় ১ মাস লেগে যায়। এবং দুর্বলতা ও কাশি প্রায় ২ সপ্তাহ থেকে যায়।



লক্ষণ সমূহ

এই ভাইরাস খুব দ্রুত ছড়াই এবং ভাইরাস আক্রমনের এক থেকে চার দিনের মধ্যে লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে।

- জ্বর এবং চরম উদাসীনতা
- কাশি
- অনুনাসিক কনজেশন
- সর্দি
- দেহ ব্যথা, বিশেষ করে সন্ধি ও গলা
- ক্লান্তি
- মাথা ব্যাথা
- বিরক্ত, জলসেচন চোখ
- চোখ, ত্বক (বিশেষত মুখ), গলা এবং নাক লাল হয়ে যাওয়া
- শিশুদের মধ্যে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল উপসর্গ যেমন ডায়রিয়া এবং পেটে ব্যথা দেখা যায়।


প্রতিকার

টিকা- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা উচ্চ ঝুঁকি গ্রুপ যেমন শিশু, বৃদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের এবং যাদের দীর্ঘস্থায়ী অসুখ আছে যেমন, হাঁপানি, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ তাদের জন্য ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন বাঞ্ছনীয় করেছে।

সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ- সংক্রমন থেকে বাঁচতে সুস্বাস্থ্য এবং কিছু অভ্যাস মেনে চলতে হবে। যেমন, চোখ, নাক বা মুখের স্পর্শ না করা। ঘন ঘন হাত ধোওয়া (সাবান ও জল দিয়ে)। হাঁচি বা কাশি দেওয়ার সময় মুখ ঢাকা। অসুস্থ মানুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এড়িয়ে চলতে হবে। অসুস্থ হলে বাড়িতে থাকতে হবে। ধূমপান ইনফ্লুয়েঞ্জার সংক্রমন এর সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে। 

No comments:

Post a Comment