Thursday, June 27, 2013

Care During Pregnancy (গর্ভকালীন সময়ে যত্ন)

কিছু কথা

বাংলাদেশে প্রতি ৪৫ মিনিটে একজন গর্ভবতী মহিলা মারা যায় প্রসবকালীন জটিলতার কারনে। আর প্রতি ৪ মিনিটে ১ মাসের কম বয়সী শিশু মারা যায় কারন তাদের মা গর্ভাবস্থায় পূর্ণাঙ্গ যত্ন না পাওয়ার কারনে। UNICEF এর তথ্য অনুযায়ী প্রতি বছর ১২০,০০০ শিশু মারা যায় জন্মের ২৮ দিনের ভিতরে।
সুতরাং সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল গর্ভাবস্থায় শারীরিক ও মানসিক যত্ন। কয়েকটি সহজ নির্দেশাবলী অনুসরণ করে একটি সমস্যা মুক্ত গর্ভপাত এবং একটি সুস্থ শিশুর জন্ম দেওয়া সম্ভব।


গর্ভকালীন যত্ন

গর্ভবতী হওয়ার ৬-৮ সপ্তাহের মধ্যে ডাক্তার এর সাথে যোগাযোগ করা উচিত। এতে পূর্ববর্তী জটিলতা বা বর্তমান জটিলতা বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে সুবিধা হয়। প্রথম ভিজিট এর সময় হয়ত জরাযর়ু (গর্ভ) আকার এবং গর্ভাশয়ের এর অস্বাভাবিকতা পরীক্ষা করার জন্য কিছু পরীক্ষা করতে হতে পারে।এছাড়া প্রথম এবং পরবর্তীতে ব্লাড এবং ইউরিন টেস্ট করতে হতে পারে।


গর্ভকালীন সময়ে ওজন বেড়ে যায়, এক এক মহিলার ক্ষেত্রে এই হার এক এক রকম হয়। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ২৫ থেকে ৩০ পাউন্ড ওজন বৃদ্ধি পায়। এজন্য ডাক্তার এর পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। ওজন কম থাকলে বাড়াতে বা বেশী থাকলে কমানোর দরকার হতে পারে।

এখন খেয়াল রাখতে হবে গর্ভাবস্থায় ২ জনের জন্য খেতে হয়। হয়ত অবাক লাগবে কিন্তু গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত প্রায় ৩০০ ক্যালরি দরকার। পর্যাপ্ত পরিমানে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। আগে যদি ৪৫ গ্রাম ক্যালসিয়াম দরকার হলে সেই তুলনায় গর্ভাবস্থায় ৭০ গ্রাম  ক্যালসিয়াম দরকার।

গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ফলিক এসিড নেওয়া উচিত। ফলিক এসিড শিশুর মস্তিষ্ক এবং মেরুদন্ডের সমস্যা প্রতিরোধ সাহায্য করে। সব থেকে ভাল হয় যদি গরভাবস্থার পূর্ব থেকে এটি শুরু করা যায়।

কর্মজীবী গর্ভবতী মহিলারা কত দিন কাজ করতে পারবে তা নির্ভর করবে তাদের কাজের ওপরে।ভারী কোন কাজ শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এ জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

নিয়মিত ব্যায়াম করলে ওজন বৃদ্ধি জনিত শারীরিক চাপ, ব্যাথা দূর হয় এবং পায়ে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। জন্মের পর পূর্বের অবস্থানে ফিরে যেতে ও অনেক সাহায্য করে থাকে।

পর্যাপ্ত পরিমানে বিশ্রাম নিতে হবে। এজন্য বই পরা যেতে পারে।

ধূমপান করা, বা অ্যালকোহল পান করা বা অন্যান্য ড্রাগ নেওয়ার অভ্যাস থাকলে তা বন্ধ করতে হবে।

দাঁতের ডাক্তার এর সাথে পরামর্শ করতে হবে। হরমোন বদলের কারনে GUM রোগ হতে পারে। যার ফলে দাঁত ফোলা বা রক্তপাত হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় যৌন মিলন করা যেতে পারে তবে তা ডাক্তার এর পরামর্শ অনুযায়ী। ডাক্তার যদি ঝুঁকিপূর্ণ মনে করেন তাহলে একদম ই উচিত হবেনা এবং সময় এর সাথে সাথে হয়ত পজিশন চেঞ্জ করা লাগতে পারে। গর্ভাবস্থায় ওড়াল সেক্স থেকে বিরত থাকা উচিত, কারন এতে জরায়ু তে বাতাস ঢোকার সম্ভাবনা থাকে যা শিশুর মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে বা মৃত্যু ও হতে পারে।

মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে। অনেকেই চরম হতাশা অনুভব করেন। সেক্ষেত্রে কথা শেয়ার করলে অনেকটা উপশম হয়।

নিম্নোক্ত কারন সমূহ দেখা দিলেই ডাক্তার এর শরণাপন্ন হউয়া উচিত,

- যোনি থেকে রক্ত বা তরল পদার্থ বের হলে।
- মুখ বা আঙ্গুলের হটাত অথবা চরম ফুলে গেলে।
- গুরুতর মাথা ব্যাথা হলে।
- বমি বমি ভাব দূর না হলে।
- মাথা ঘোরা।
- অস্পষ্ট দৃষ্টি।
- তলপেটে ব্যথা বা সংকোচন।
- শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া বা জ্বর।
- শিশুর নড়াচড়া পরিবর্তন।
- কম প্রস্রাব বা প্রসাবের পর জ্বালা পোড়া।
- কোনো অসুস্থতা বা সংক্রমণ।
- যেকোনো বিরক্তিকর কারনে।

1 comment:

  1. Las Vegas casino - JTM Hub
    This is why 구미 출장샵 we have 하남 출장안마 chosen the casino of choice for our new 사천 출장안마 player, to the Las Vegas experience. We've chosen it for 강릉 출장마사지 the most exciting games to 원주 출장마사지

    ReplyDelete